SupportTypically replies within a day
Support
Hello! 👋🏼 What can we do for you?
06:12← Go back to blogs
খ. চেইন ও মুভিং পার্টস লুব্রিকেট করুন -
বৃষ্টির কারণে চেইন থেকে তেল উঠে গিয়ে শুকিয়ে যায়, যা চেইনের ক্ষয় বাড়ায়।
গ. টায়ার চেক করা অত্যন্ত জরুরি -
বর্ষাকালে রাস্তা ভেজা থাকায় টায়ারের গ্রিপ ঠিকমতো কাজ না করলে সহজেই বাইক স্কিড করতে পারে।
ঘ. ব্রেক সিস্টেম নিয়মিত টেস্ট করুন -
ঙ. ইলেকট্রিক্যাল পার্ট সুরক্ষা দিন -
বর্ষাকালে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট হওয়া সাধারণ সমস্যা।
খ. পানি জমা রাস্তায় সাবধান -
গ. রেইন গিয়ার ও হেলমেট ব্যবহার করুন -
ঘ. লাইট ও হর্ন নিয়মিত ব্যবহার করুন -
ঙ. বাইক পার্কিং এ সতর্ক থাকুন -
নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে বর্ষাকালেও বাইক চালানো আনন্দদায়ক হতে পারে।
বর্ষাকালে বাইক রাইডিং গাইড: বাইকের যত্ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও সচেতনতা
Updated at : 3 days ago
বাংলাদেশে শহরের বাইরে রাস্তাগুলো সবসময় বাইক-বান্ধব নয়। বর্ষাকালে যখন কয়েক দিনের বৃষ্টি পড়ে, তখন অনেক রাস্তা কাদা, গর্ত এবং পানি জমে যাওয়ায় রাইডারের জন্য ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। বিশেষ করে গ্রাম ও মফস্বল এলাকায় মাটির রাস্তা ভিজে গেলে বাইক সহজেই স্লিপ করে বা কাদায় আটকে যায়। এ সময়ে সঠিক বাইক রক্ষণাবেক্ষণ এবং রাইডিং সচেতনতা না থাকলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
এই ব্লগে আমরা জানবো—বর্ষাকালে বাইকের যত্ন নেওয়ার উপায়, রাইডিংয়ের সময় সচেতনতা, এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর টিপস।
১. বর্ষাকালে বাইকের রক্ষণাবেক্ষণ টিপস
ক. বাইক পরিষ্কার রাখুন -
বর্ষায় কাদা, ধুলো ও নোংরা পানির কারণে বাইকের বিভিন্ন অংশে ময়লা জমে থাকে।
বর্ষায় কাদা, ধুলো ও নোংরা পানির কারণে বাইকের বিভিন্ন অংশে ময়লা জমে থাকে।
- প্রতিদিন রাইড শেষে বাইক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- ধোয়ার পর শুকনো কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন।
- সাইলেন্সার, চেইন কাভার এবং ব্রেক প্যাডের আশেপাশের জায়গাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করুন।
খ. চেইন ও মুভিং পার্টস লুব্রিকেট করুন -
বৃষ্টির কারণে চেইন থেকে তেল উঠে গিয়ে শুকিয়ে যায়, যা চেইনের ক্ষয় বাড়ায়।
- সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার চেইনে লুব্রিকেন্ট বা তেল ব্যবহার করুন।
- ব্রেক, ক্লাচ এবং সাসপেনশনের মুভিং জয়েন্টগুলোতেও হালকা গ্রিজ ব্যবহার করলে রাইডিং স্মুথ থাকে।
গ. টায়ার চেক করা অত্যন্ত জরুরি -
বর্ষাকালে রাস্তা ভেজা থাকায় টায়ারের গ্রিপ ঠিকমতো কাজ না করলে সহজেই বাইক স্কিড করতে পারে।
- টায়ারের ট্রেড বা গ্রিপ গভীরতা ২ মিমি’র কম হলে পরিবর্তন করুন।
- সঠিক এয়ার প্রেসার বজায় রাখুন—কম চাপ হলে স্কিড, বেশি চাপ হলে কন্ট্রোল হারাতে পারেন।
ঘ. ব্রেক সিস্টেম নিয়মিত টেস্ট করুন -
- ডিস্ক ও ড্রাম ব্রেক ভিজে গেলে ব্রেকিং পারফরম্যান্স কমে যায়।
- ব্রেক শু বা ডিস্ক প্যাড পরিষ্কার করুন এবং প্রয়োজনে ব্রেক অয়েল চেক করুন।
ঙ. ইলেকট্রিক্যাল পার্ট সুরক্ষা দিন -
বর্ষাকালে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট হওয়া সাধারণ সমস্যা।
- ব্যাটারি কানেকশন, স্পার্ক প্লাগ ও ফিউজবক্স শুকনো রাখুন।
- প্রয়োজন হলে কিছু অংশে ভ্যাসলিন বা সিলিকন স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
২. বর্ষাকালে রাইডিং এর সময় সচেতনতা
ক. ধীরে ও সতর্কভাবে চালান -
- ভেজা রাস্তায় হঠাৎ ব্রেক দিলে স্কিড করার সম্ভাবনা বেশি।
- স্পিড ৪০-৫০ কিমি/ঘণ্টার বেশি না রাখাই নিরাপদ।
খ. পানি জমা রাস্তায় সাবধান -
- পানি জমা জায়গায় গর্ত বা পিচ্ছিল কাদা লুকানো থাকতে পারে।
- যতটা সম্ভব পানি এড়িয়ে বা ধীরে সতর্কভাবে পার হন।
গ. রেইন গিয়ার ও হেলমেট ব্যবহার করুন -
- ওয়াটারপ্রুফ রেইনকোট, রাবারের বুট ও গ্লাভস ব্যবহার করুন।
- হেলমেটের ভিসর পরিষ্কার ও ফগ-প্রুফ রাখুন যাতে দৃষ্টি বাধাগ্রস্ত না হয়।
ঘ. লাইট ও হর্ন নিয়মিত ব্যবহার করুন -
- বৃষ্টির সময় দৃশ্যমানতা কমে যায়, তাই হেডলাইট সবসময় অন রাখুন।
- সামনে-পেছনের গাড়িকে সতর্ক করতে হর্ন ব্যবহার করুন।
ঙ. বাইক পার্কিং এ সতর্ক থাকুন -
- খোলা জায়গায় বা পানির পাশে বাইক পার্কিং করলে ইঞ্জিন ও ইলেকট্রিক্যাল পার্টে সমস্যা হতে পারে।
- শুকনো জায়গায় বা শেডে পার্ক করা উত্তম।
বাংলাদেশের রাস্তায় বর্ষাকাল বাইক রাইডারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপদ রাইডিং অভ্যাস, এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম থাকলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
মনে রাখবেন—
- নিয়মিত চেইন ও টায়ার চেক করুন
- ব্রেক ও ইলেকট্রিক্যাল পার্টস সুরক্ষিত রাখুন
- ধীরে ও সচেতনভাবে রাইড করুন
নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে বর্ষাকালেও বাইক চালানো আনন্দদায়ক হতে পারে।
Comments