SupportTypically replies within a day
Support

Hello! 👋🏼 What can we do for you?

07:48
cart
← Go back to blogs

বাংলাদেশ এবং ভারতে একই বাইকের দামের পার্থক্য কেন? | ভিন্নপথে Hornet 2.0

Updated at : 3 months ago

বিষয়টা খানিক বিতার্কিক তবে এই বছর দেশের বাজারে আসা Honda Hornet 2.0 দাম নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কেউ এই দাম নিয়ে খুশি, আবার কেউ বলছেন কিভাবে সম্ভব যে ভারতের বাজার থেকেও কম দামে আমাদের দেশে সেল করবে  হোন্ডা কতৃপক্ষ! এর পিছে কি কোনো মারপ্যাচ আছে?
বাংলাদেশে বাইকের দাম নিয়ে অনেকেরই অনেক ধরণের মতামত। একটু হিসাব করলেই বিষয়টা অনেকটা ক্লিয়ার হবে।

ধরুন বাংলাদেশের বাজারে কিছুদিন আগেই হরনেট ২.০ রিলিজ হলো ২,৮৯,০০০/- টাকায়। অথচ ভারতের বাজারে এর দাম ১,৩৯,০০০রুপি (কম-বেশি)। এখন রুপি থেকে টাকা রুপান্তর হলে দাঁড়ায় ১,৩৯,০০০X১.৪০ = ১,৯৪,৬০০টাকা।

এই ১,৯৪,৬০০টাকার সাথে যদি OME-2 ক্যাটাগরিতে ৫২% ইমপোর্ট ডিউটি+ট্যাক্স যুক্ত হয়ে তবে দাঁড়ায় ১৯৪,৬০০X১.৫২ = ২,৯৫,৭৯২টাকা। এরপর আছে ট্রান্সপোর্ট খরচ, ডিলারের কমিশন, সরকারি ভ্যাট, কোম্পানি ওয়ার্কার স্যালারি।
এগুলো যদি ১৫০০০টাকাও ধরেন, সেক্ষেত্রে বাইকের দাম দাঁড়ায় ৩,১০,০০০টাকার মত। অথচ বিক্রি করছে ২,৮৯,০০০০টাকায়।

Hornet 2.0 এর ভালো দিক:
১। লুকস, ব্রেকিং,  কন্ট্রোলিং, কম্ফোর্ট খুব ভালো।
২। মাইলেজ ৪৫+
৩। এসসিলারেশন জোস।
৪। খুবই স্মুথ, ভাইব্রেশন অনেক কম।
৫। ১ম বার মবিল চেঞ্জের পর সাউন্ড হারিয়ে গেছে। মানে এতটা স্মুথনেস বেড়ে গেছে।

Hornet 2.0 খারাপ দিক, সমস্যা এবং সম্ভাব্য সমাধান:
১। লাইটের আলো কম সিটিতে, কারন অত্যাধিক সড়কবাতি, অন্য গাড়ির আলো ইত্যাদি।  গ্রামে/মফস্বলে টের পাওয়া যায় না। তবে লাইটের ডিরেকশন একটু নিচে নামিয়ে নিলে এইটার মোটামুটি সলভ হয়।
২। গিয়ার শিফটিংয়ে গিয়ার বাড়াতে সমস্যা ফেস করিনাই। কমানোর সময় ফেসে যাচ্ছে। সমাধান পেয়েছি, চেইনে পর্যাপ্ত লুব/মবিল দিবেন। শুকনা হতে দিবেন না। এবং গিয়ার কমানোর সময় হাফ ক্লাচ করবেন। শ্লিপার এসিস্ট্যাড ক্লাচ, ভয়ের কারন নাই।
৩। পিলিয়ন সিট তুলনামূলক ছোট। সিটের কুশন কম। সিট বাধানোর সময় এক্সট্রা ফোম লাগিয়ে দিলে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। 
৪। ইঞ্জিন হিটিং ইস্যু, নতুন বাইক, রেগুলার সার্ভিসে ঠিক হবে আশা করি।

তাহলে কি কোম্পানি লসে বিক্রি করছে? -অবশ্যই না। ভারতীয় রিটেইল প্রাইজ থেকে অনেক কমে বাইকগুলো কিনে আনে, এছাড়া পুরো বাইকের ২৫-৩০% মালামাল দেশেই উৎপাদিত হয়, সব মিলিয়ে সেখানে খরচ টা আরো কমে আসে। CKD ফরমেটে প্রায় প্রতিটা বাইকের জন্য ঘটনা অনেকটা একই। 

Comments